রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনায় বিশ্ব বাজারে বেড়েছে তেলের দাম
বিশ্ব বাজারে সরবারহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৭ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হঠাৎ অনেক বেড়ে গেছে।
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৯৫.৫০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৯৬.৫৪ ডলারে পৌঁছেছে।
২০১৪ সালের পর এটিই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সর্বোচ্চ মূল্য। খবর বিবিসি ও ব্লুমবার্গের।
এদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান গত এক সপ্তাহ ধরে বলে আসছেন, যে কোনো সময় ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক হামলা শুরু করতে পারে।
মার্কিন র্কমকর্তাদের এ ধরনের বক্তব্যে প্রভাবিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার। রাশিয়া অবশ্য মার্কিন এ অভিযোগ নাকচ করে বলছে, যুদ্ধ শুরুর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
একদিকে বিশ্বব্যাপী বাড়তি চাহিদা অপরদিকে সীমান্তে ইউক্রেন-রাশিয়া টানাপড়েন, এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সংবাদ-রয়টার্স।
তেলের দাম এরই মধ্যে ব্যারেল প্রতি ৯৫ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ওএএনডিএ এর বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড মোয়া জানান, বর্তমান দাম ৭ শতাংশ অর্থাৎ ১ শত ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালায় তবে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে তেল রপ্তানি ও সরবরাহ দুটোই বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমন আশঙ্কা থেকেই ইউক্রেনগামী ফ্লাইট বাতিল কিংবা অন্যত্র পাঠাচ্ছে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান। সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহজুড়ে কূটনৈতিক আলোচনার পরও অগ্রগতি না হওয়ায় রুশ আক্রমণ আসন্ন বলে আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে।
পশ্চিমা বিশ্ব দাবি করে আসছে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এমনকি, প্রতিবেশী বেলারুশেও রুশ সেনা পাঠানো হয়েছে মহড়ার জন্য।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তে উপস্থিত রুশ সেনা সমাবেশ ও সরঞ্জাম হামলার জন্য পর্যাপ্ত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেকোনো সময় আক্রমণের নির্দেশ দিতে পারেন।
তবে, ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রুশ সরকার।
২০১৪ সালের পর এটিই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সর্বোচ্চ মূল্য। খবর বিবিসি ও ব্লুমবার্গের।
এদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান গত এক সপ্তাহ ধরে বলে আসছেন, যে কোনো সময় ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক হামলা শুরু করতে পারে।
মার্কিন র্কমকর্তাদের এ ধরনের বক্তব্যে প্রভাবিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার। রাশিয়া অবশ্য মার্কিন এ অভিযোগ নাকচ করে বলছে, যুদ্ধ শুরুর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
একদিকে বিশ্বব্যাপী বাড়তি চাহিদা অপরদিকে সীমান্তে ইউক্রেন-রাশিয়া টানাপড়েন, এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সংবাদ-রয়টার্স।
তেলের দাম এরই মধ্যে ব্যারেল প্রতি ৯৫ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ওএএনডিএ এর বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড মোয়া জানান, বর্তমান দাম ৭ শতাংশ অর্থাৎ ১ শত ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালায় তবে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে তেল রপ্তানি ও সরবরাহ দুটোই বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমন আশঙ্কা থেকেই ইউক্রেনগামী ফ্লাইট বাতিল কিংবা অন্যত্র পাঠাচ্ছে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান। সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহজুড়ে কূটনৈতিক আলোচনার পরও অগ্রগতি না হওয়ায় রুশ আক্রমণ আসন্ন বলে আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে।
পশ্চিমা বিশ্ব দাবি করে আসছে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এমনকি, প্রতিবেশী বেলারুশেও রুশ সেনা পাঠানো হয়েছে মহড়ার জন্য।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তে উপস্থিত রুশ সেনা সমাবেশ ও সরঞ্জাম হামলার জন্য পর্যাপ্ত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেকোনো সময় আক্রমণের নির্দেশ দিতে পারেন।
তবে, ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রুশ সরকার।
গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ডাচ এয়ারলাইন কেএলএম ঘোষণা দিয়েছে যে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে ফ্লাইট বাতিল থাকবে। দেশটির আকাশসীমা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের সংবেদনশীলতা চরমে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেন রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করা হয়। এতে ২৯৮ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১৯৮ জনই ছিলেন ডাচ নাগরিক।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনীয় চার্টার এয়ারলাইন স্কাইআপ জানিয়েছে, পর্তুগালের মাদেইরা থেকে কিয়েভ অভিমূখী ফ্লাই মলডোবার রাজধানীতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে কোম্পানিটির ভাড়াদাতা প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনের আকাশসীমায় ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে।